নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী শনিবার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাই না কাটা পর্যন্ত তাকে এইচডিইউতে রাখা হবে। তার ডানপাশটা অবশ অবস্থায় আছে। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম ওয়াহিদার অবস্থা নিয়ে কথা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ছাড়া সবকিছু প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। তার পূর্ণজ্ঞান আছে, পরিবারের সদস্য এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ডা. বদরুল। এ সময় হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান ও ওয়াহিদার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদার ডানপাশে শক্তি নেই, কিন্তু বোধ আছে। চিমটি কেটে ব্যথা দিলে বুঝতে পারেন, স্পর্শ করলে বুঝতে পারেন। কিন্তু হাতের কোনো শক্তি নেই, হাত নাড়াতে পারেন না। অবস্থার উন্নতিতে ফিজিওথেরাপি চলছে। ফিজিওথেরাপি চলার পর কতটুকু উন্নতি হয় সেটা সময় হলে বোঝা যাবে।
এদিকে বুধবার সকালে ইউএনও ওয়াহিদাকে হাসপাতালে দেখতে যান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওয়াহিদা তার এলাকার মেয়ে। তিনি শুরু থেকেই খোঁজখবর রেখেছিলেন। বর্তমানে ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা ভালো। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। গত শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে যুবলীগের তিন নেতাও (ঘটনার পর বহিষ্কৃত) রয়েছে।